September 19, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সবজি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সবজি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সবজি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতের সবজি

হেমন্তের মৃদু হিমশীতল হাওয়া যেমন শীতের আবেশ জাগায়, তেমনি বাজারে শীতের সবজির সমারোহও স্বাদের কুঁড়ি মেটাতে প্রস্তুত। ঋতুর এই পরিবর্তন শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে। এ সময় ঠাণ্ডা, জ্বর, গলা ব্যথা ও কাশির সমস্যা দেখা দেয় ঘরে ঘরে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনার কিছু শাকসবজি খাওয়া উচিত।

শীতের সবজি, যেমন; ফুলকপি, বাঁধাকপি, বাঁধাকপি, লাল বাঁধাকপি, পালং শাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, লাউ, ব্রকলি, মটরশুঁটি, গাজর, ধনেপাতা ইত্যাদি শীতকালে বাজারে দেখা যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতকালীন সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ভিটামিন।

 চলুন জেনে নিই এগুলোর  মধ্যে  কিছু শীতকালীন সবজি  সম্পর্কিত  উপকার।

  • পালং শাক

শীতকালীন সবজির মধ্যে পালং শাক অন্যতম। এটি শীতকালে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় কারণ এর অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি এই ঋতুতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান তবে শাকসবজিকে আপনার ডায়েটের নিয়মিত অংশ করুন। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হাড় মজবুত করতে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক।

  • গাজর

গাজর একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যা কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া যায়। এতে ভিটামিন A, B, B2, B3, C, K এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শীত মৌসুমে খাওয়ার জন্য আদর্শ। গাজর সালাদ, ভাজা এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • ব্রকলি

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্রকলি অন্যতম সেরা সবজি। এটি ভিটামিন কে, সি, ফোলেট এবং ফাইবারের মতো পুষ্টিতে ভরপুর, যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই এই মৌসুমে নিয়মিত ব্রকলি খান।

  • মূলা

মুলা আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। মুলা পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এটিতে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ জলের উপাদান রয়েছে, যা আপনাকে শীতকালে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে। মূলার পুষ্টিগুণ ফ্লু-এর মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। মুলা কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া যায়।

  • ফুলকপি

শীতের আরেকটি জনপ্রিয় সবজি হলো ফুলকপি। এটি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অপরিহার্য। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। তাই শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায়  ক্ষমতা প্রতিরোধ   বৃদ্ধিকারী খাবার ফুলকপি যোগ করুন।

  • শিম

খুব জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। তবে আজকাল প্রায় সারা বছরই শিম পাওয়া যায়। মটরশুটি সবার প্রিয় সবজি। শীতেশিমের স্বাদ আলাদা। শিম ভাজি, ভর্তা এবং তরকারি রান্না করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। শিমে  আমিষ ছাড়াও প্রোটিন ও ফাইবার থাকে। শিমের ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং অনেকাংশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায় এবং পাকস্থলী ও প্লীহাকে শক্তিশালী করে। লিউকোরিয়া সহ মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, অপুষ্টি দূর করে এবং শিশুদের পুষ্টি যোগায় ।

  • টমেটো

তাছাড়া ভিটামিন-সি-এর অভাবে সৃষ্ট স্কার্ভি ও চর্মরোগ প্রতিরোধে টমেটো খুবই কার্যকর। টমেটোতে উপস্থিত আরেকটি উপাদান হল লাইকোপেন, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এ জন্য অনেকেই টমেটোকে অন্ত্রের অ্যান্টিসেপটিক বলে থাকেন। টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা প্রকৃতির অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে।

  • ধনেপাতা

এখন বারো মাস ধনেপাতা পাওয়া গেলেও এটি আসলে শীতকালীন সবজি। গাঢ়-সবুজ এই সবজিটি নানাভাবে খাওয়া যায়। বিভিন্ন গ্রেডের তরকারি, চাটনি এবং আচার তৈরি এবং খাওয়া হয়।

ধনে পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ধনে পাতায় যে ভিটামিন, খনিজ, খনিজ লবণ এবং অন্যান্য উপাদান পাওয়া যায় তা আমাদের ত্বকের জন্য অপরিহার্য। এই সিলান্ট্রো ভিটামিন আমাদের ত্বকে প্রতিদিনের পুষ্টি জোগায়, চুল পড়া রোধ করে এবং আমাদের মুখের ভিতরের নরম অংশগুলিকে রক্ষা করে। মৌখিক গহ্বরের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ধনে পাতায় থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখকে পুষ্টি জোগায়। দাদ দূর করতেও ধনে পাতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

  • মটরশুঁটি

শীতে মটরশুঁটি খেতে পারেন সব তরকারির সঙ্গেই। সুস্বাদু মটরশুঁটি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য।ভিটামিন B1, B2, B3 এবং B6 এর উৎস, মটরশুটি শরীরে হোমোসিস্টাইনের মাত্রা কমায়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মটরশুটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।এক কাপ ছোলা ভিটামিন কে সমৃদ্ধ যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে।শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও মটরশুটি দারুণ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন

সাপ খাইঃ কারণ আয় ও খাবার নাই

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X