November 24, 2024
বড় মাপের পুরষ্কার নিয়ে ফেরেন হাজীগণ

বড় মাপের পুরষ্কার নিয়ে ফেরেন হাজীগণ

বড় মাপের পুরষ্কার নিয়ে ফেরেন হাজীগণ

বড় মাপের পুরষ্কার নিয়ে ফেরেন হাজীগণ

ইসলামের অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ হল হজ্। আর গ্রহণযোগ্য হজ আল্লাহর পক্ষ থেকে রেজিস্টারকৃত ব্যক্তিগণ ছাড়া কারো দ্বারা সম্ভব হয় না । তাই এই হজ্ পালনের জন্য সাদা আল্লাহর কাছে মনে প্রানে চাইতে হয়।   সেই হজ থেকে হাজীগণ  যখন ফিরেন;  তখন তাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন খালি হাতে ফিরান না । কারণ তাদের মনে প্রাণে কাবা আর রওজায়ে  রাসুল(সা) সদা বিদ্যমান। তাই  বড় মাপের পুরষ্কার নিয়ে ফেরেন হাজীগণ।

আর ধারাবাহিকতায় পবিত্র হজ পালন শেষে বাড়ি ফিরছেন হাজিরা। চোখে জল নিয়ে ঘরে ফিরলেও তাদের মন থাকে পবিত্র ভূমি মক্কা-মদিনায়। হজ, পরিশ্রম, দীর্ঘ সফর এবং মক্কা ও মদীনার প্রতি সীমাহীন ভালোবাসার কারণে আল্লাহ তাদের খালি হাতে ফেরত পাঠাবেন না। ঈমান, নিয়ত ও নিষ্ঠার কারণে যাদের হজ কবুল করে  আল্লাহ তাদের প্রতিদান দেবেন। ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক পুরস্কার নিয়ে তারা ঘরে ফিরছেন।

সম্মানিত হজযাত্রীরা আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব পুরস্কার নিয়ে ঘরে ফিরছেন তার মধ্যে কয়েকটি হলো-

আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রশংসা। জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আরাফার দিনে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর আকাশে নেমে আসেন এবং ফেরেশতাদের কাছে হাজিদের ব্যাপারে গর্ব করেন এবং বলেন, ‘ আমার বান্দাদের দিকে তাকাও, তারা এলোমেলো চুল ও ধুলোমাখা কাপড় নিয়ে আমার কাছে আসছে।’ , দূর-দূরান্ত থেকে আহাজারি করতে করতে উপস্থিত হয়েছে। আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি যে, আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।তখন ফেরেশতারা বললেন, হে প্রভু, অমুক বান্দাকে বলা হয় মহাপাপী, এবং অমুক পুরুষ ও নারীকেও। তিনি (সাঃ) বললেন। , তখন আল্লাহ বললেন, আমি তাদেরও ক্ষমা করে দিয়েছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “আরাফার দিনের চেয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দানকারী আর কোন দিন নেই।” (মিশকাতুল মাসাবিহ)

ক্ষমা। হজ মানুষের গুনাহ থেকে মুক্তি দেয়। যদিও মানুষের পাপের পরিমাণ অনেক বেশি। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করবে এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও পাপ থেকে বিরত থাকবে, সে হজ্জ থেকে এমন পবিত্র হবে যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিলেন।(সহিহ বুখারি)

মহান ফজিলত। আয়েশা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করাকে সর্বোত্তম কাজ বলে মনে করি, কিন্তু আমরা কি আল্লাহর পথে জিহাদ করব না? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের জন্য সর্বোত্তম সংগ্রাম হল কবুল হজ্জ করা। (সহীহ বুখারী)

হাদীস বিশারদগণ বলেন, এর দ্বারা হজের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ পুণ্য অর্জন করা উদ্দেশ্য।।

জান্নাতের ঘোষণা। মহানবী (সা.) হজকারীদের জন্য জান্নাত ঘোষণা করেছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘এক ওমরার পর আরেকটি উমরাহ – উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) কাফফারা। আর জান্নাতই হল কবুল হজের প্রতিদান। (সহিহ বুখারি)

আভাবমুক্ত জীবন ও প্রাচুর্য দান। হজ এবং ওমরাহ একজন মুমিনের জীবনে প্রাচুর্য নিয়ে আসে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা নিয়মিত হজ ও ওমরাহ কর। কারণ এ দুটি নিয়মিতভাবে পালন করলে দারিদ্র্য ও পাপ দূর হয়, যেমন কাঁসা লোহার মরিচা দূর করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আরও খবর

নীল রঙয়ের কলা, খেতে আইসক্রিমের মতো
উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে বড় ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে

দোয়া কবুলের ঘোষণা। যারা হজ ও ওমরাহ পালন করে তাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। এটা তাদের জন্য বিশেষ অনুগ্রহ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘হজ ও ওমরা পালনকারীরা আল্লাহর প্রতিনিধি। যদি তারা তাঁর কাছে প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাদের প্রার্থনা কবুল করেন এবং যদি তারা তাঁর কাছে ক্ষমা চান, তিনি তাদের ক্ষমা করেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি আল্লাহর দায়িত্ব (নিরাপত্তার) অধীন: এক. যে ব্যক্তি মসজিদের জন্য  বের হয়, দুই. যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে বের হয়, তিন. যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হয়।’ ।

সর্বোত্তম আমল। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হজকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আমল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বললেন, সর্বোত্তম আমল হলো আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করা, তারপর আল্লাহর পথে জিহাদ করা, তারপর কবুল হজ করা। এগুলো পৃথিবীর সব আমলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।’

সুস্থ জীবন দান। হজ পালনকারীরা হজে যান এবং জমজমের পানি পান করেন। আর এই পানিতে আল্লাহ অনেক রোগের  নিরাময়  রেখেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘পৃথিবীর সর্বোত্তম পানি হচ্ছে জমজমের পানি। এতেই রয়েছে তৃষ্ণার তৃপ্তি ও রোগ নিরাময়।’

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত বিধান মতে হজ পালনকারীর এবং হালাল উপায়ে ইনকাম করা হজ অবশ্যই আল্লাহর দরবারে কবুল হবেই, তাতে কোন সন্দেহ নেই । আল্লাহ আমাদের হালাল রুজিকে বরকত দান করুন এবং আল্লাহর ঘর ও রওজায়ে মদিনা সরাসরি দেখার তৌফিক দান করুন। আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X