November 19, 2024
হিজাব হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান মতে

হিজাব হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান মতে

হিজাব হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান মতে

হিজাব হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান মতে

ঈমানের দাবী হল হিজাব বা পর্দা করার নিয়মের প্রতি পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া। এই বিধানকে হালকাভাবে নেওয়া বা অমান্য করার কোনো অবকাশ নেই। কারণ ইসলামী শরীয়তের সুস্পষ্ট বিধানের বিরোধিতা করার অধিকার কারো নেই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আল্লাহ ও তাঁর রাসুল যখন কোনো আদেশ করেন, তখন কোনো মুমিন পুরুষ বা মুমিন নারীর সেই বিষয়ে অবাধ্য হওয়ার কোনো অধিকার নেই। আর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অবাধ্য হলে সে অবশ্যই পথভ্রষ্ট হয়।” (সূরা আহযাব, আয়াত – ৩৬) এবং এই আয়াতের মাধ্যমে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে পর্দা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। অবশ্যই এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এই বিধানগুলো তাদের দ্বারাই মানা সম্পূর্ণ সম্ভব হবে।  যাদের উপর রয়েছে আল্লাহতালার পূর্ণাঙ্গ রহমত। তাই হিজাব হবে কুরআন সুন্নাহর বিধান মতে ।

পর্দা গ্রহণ সংক্রান্ত সকল শর্ত পালন করা জরুরী

মহিলাদের জন্য তাদের পুরো শরীরকে ঢেকে রাখাঃ

পর্দার পরিপূর্ণতা হল নারীরা তাদের সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখার বিধান। উভয় হাতের কব্জি খোলা রাখার বিশেষ প্রয়োজন হলে কোনো সমস্যা নেই।

পর্দায়ও যাতে আকর্ষণীয়  সৌন্দর্য প্রকাশ না করেঃ

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ

“আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না।

“এবং তোমরা প্রাক-জাহিলি যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করবে না”।

আল্লাহতায়ালা পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নারীরা তাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখে এবং তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। কিন্তু পর্দা যদি এতই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয় যে পুরুষ নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং প্রলোভনের সম্মুখীন হয়, তাহলে এ ধরনের পর্দার কোনো অর্থ থাকতে পারে না। এটাকে শরিয়ত নিয়ে খেল তামাশা বলা যেতে পারে।

ঢিলেঢালা পোশাক ও বোরখা পরতে হবে যাতে তাদের শরীর ও সৌন্দর্য দেখা বা অনুমান করা না যায়ঃ

কারণ, এই ধরনের ফ্যাব্রিক ছাড়া, পর্দা বাস্তবায়িত হবে না। পাতলা কাপড় পরলে সৌন্দর্য পুরোপুরি লুকানো যায় না। রাসুল সা

দুনিয়ার শেষ দিকে আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু মহিলার আবির্ভাব হবে যারা পোশাক পরিধান করেরও মূলত উলঙ্গ থাকবে । তাদের মাথা উটের মত উঁচু হবে। তাদের অভিশাপ দাও, কারণ তারা অভিশপ্ত। তিনি আরো বলেন,

নবীজি তাদের সম্পর্কে আরও বলেছেন, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। কিন্তু জান্নাতের সুবাস অনেক দূর থেকে পাওয়া যায়। [মুসলিম]

এটা স্পষ্ট যে, নারীদের জন্য পাতলা ও মসৃণ পোশাক পরা মারাত্মক গুনাহ। যা তাদের সৌন্দর্যকে ঢাল না দিয়ে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।

ঢিলেঢালা পোশাক পরুন, টাইট পোশাক নয়। কেননা পর্দার উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিতনা থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং অন্যকে রক্ষা করা। কিন্তু যখন একজন মহিলা আঁটসাঁট পোশাক পরেন, তখন তার শরীরের আকৃতি একজন দর্শকের কাছে স্পষ্ট হবে। এটি পুরুষের চোখে খুব স্পষ্ট হবে। আর শুরু হবে আপদ।

মহিলারা সুগন্ধি প্রসাধনী বা বডি স্প্রে দিয়ে রাস্তায় বের হবেন নাঃ

রাসুল সা বলেছেন,

أَيُّما منتدمٍ استعطرت , فَمَرَّتْ على قومٍ ليجدوا ريحها , في زانية

যদি কোন মহিলা খোসবু ব্যবহার করে পুরুষদের পাশ দিয়ে যায় । যাতে তারা তার ঘ্রাণ বুঝতে পারে। তাহলে সেই মহিলা ব্যভিচারিণী”

আর স্বামীকে খুশি করার জন্য আপনি নিজেকে কতটা আকর্ষণীয় করে তুলতে চান তার কোনো সীমা নেই তা করতে পারেন । কারণ আপনার এই সৌন্দর্যের একমাত্র যোগ্য ব্যক্তিটি হল আপনার কাছের ব্যক্তি বা আপনার প্রিয় স্বামী। এছাড়া আর কেউ নয় ।

 

নারী পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে নাঃ

রাসুল সা. বলেছেন,

“যে পরুষ নারীদের বেশ-ভুষা অবলম্বন করে তাদের অভিশাপ করেছেন আবার যে সব পুরুষরা নারীদের বেশ-ভুষা অবলম্বন করে তাদের অভিশাপ করেছেন”

অমুসলিমদের মতো পোশাক পরতে পারবে নাঃ

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্য কোন জাতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, সে তাদেরই একজন বলে গণ্য হবে বা সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত হবে।”

সমাজ থেকে খারাপ আচরণ, অনৈতিকতা, ধর্ষণ, অশ্লীল যৌনতা ইত্যাদি প্রতিরোধে পর্দা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পর্দা চর্চার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব। আল্লাহ নারী বা পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে পর্দার আচার-অনুষ্ঠান বোঝার ও অনুসরণ করার মাধ্যমে সকল ফিতনা থেকে নিজেকে রক্ষা করার এবং সুন্দর ও নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হওয়ার এবং দেশ ও সমাজ থেকে যাবতীয় ধর্ষণ ও ব্যভিচার প্রতিরোধ করার তাওফিক দান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X