ঢাবি অধ্যাপকের গবেষণাচুরি ,তদন্তে কমিটি, চুরি প্রতিরোধে নীতিমালা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে পিএইচডি গবেষণায় আনন্দবাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ফোরাম সিন্ডিকেট। একই সঙ্গে বিনা অনুমতিতে বিদেশে অবস্থান করা ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ক্ষনিকা গোপের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। চুড়ান্ত হয়েছে অ্যান্টি-প্ল্যাজারিজম নীতি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের একাধিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শিরোনামের নীতিগত অনুমোদন দেয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। এরপর তা ডিন কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয় এবং সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হয়। এই নীতিতে জরিমানা, ডিগ্রি বাতিল এবং পদোন্নতি, এমনকি বরখাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে গবেষণার নকল বা অসঙ্গতির মাত্রা অনুযায়ী সংশোধনের সম্ভাবনা সাপেক্ষে।
আর, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগের অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে অন্যদের লেখা নিবন্ধ চুরি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেছে।
এছাড়া আইবিএ শিক্ষিকা ক্ষনিকা গোপ বিনা অনুমতিতে বিদেশে থাকার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।