১ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারছেন না
শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সমস্যায় পড়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভিসা যাচাইয়ের জন্য প্রায় ১০০, ০০০ বাংলাদেশি কর্মীর আবেদন মুলতুবি রয়েছে। বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উত্থাপন করলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। এসব ভিসার বেশির ভাগের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী শুক্রবার। ভুক্তভোগীরা জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চেন্দানা মেওয়াহ রিসোর্স নামে মালয়েশিয়ার একটি রিক্রুটিং কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কর্মী নিতে চায়। কোটা অনুমোদনের পর তারা ভিসা সংগ্রহ করে এসব শ্রমিক নিতে। গত ডিসেম্বরে তারা যাচাইয়ের জন্য মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে আবেদন করে। আবেদনের পর পাঁচ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও হাইকমিশন তা নিশ্চিত করেনি। এখন ভিসার মেয়াদ শেষ হবে ২ জুন। ঢাকা থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে হাইকমিশন এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
জনশক্তি রপ্তানিকারকরা জানান, যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষায় হাইকমিশনে আবেদনের স্তূপ জমে আছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ নিয়োগের আবেদনপত্র যাচাইয়ের জন্য জমা পড়েছে। এই সময়ের শেষে প্রায় ১০,০০০ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। যাচাই না করার কারণে নিয়োগকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। সাধারণত হাইকমিশনের ডিমান্ড নোট ও অন্যান্য নথি যাচাই করার কথা। কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় চলতি মাসে হাইকমিশনে চিঠিও পাঠিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি। চেন্দানা মেওয়াহ রিসোর্সেসের সিইও বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রমমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন- ইতোমধ্যে ৭৫ জন শ্রমিক কুয়ালালামপুরে পৌঁছেছেন এবং দুই ধাপে কাজে যোগ দিয়েছেন। মে মাসের শেষের দিকে ৩৫০ জন এবং জুনে আরও ৩৫০ জন কর্মী আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারা সবাই ক্যামেরন হাইল্যান্ডস এবং জোহর বাহুতে কাজে যোগ দেবেন। দাতো সন্দনতাভান, সংস্থার সিইও তাদের চাকরি, বাসস্থান, ভ্রমণ এবং বেতনের সমস্ত দায়িত্ব আমার। কিন্তু এর পরও হাইকমিশন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের দাবি, শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে, তাই মন্ত্রণালয় থেকে জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ করলে শাস্তিও হয়। যেহেতু হাইকমিশন থেকে নিশ্চিতকরণ পেতে এত সময় লাগছে, তাই মন্ত্রণালয় নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা করতে পারলে এটি কর্মীদের পাঠানোর গতি বাড়িয়ে দেবে। তা না হলে এ ধারা অব্যাহত থাকলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সংকটে পড়বে।