September 14, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
স্ত্রীকে ফেরত পেতে লিগ্যাল নোটিশ

স্ত্রীকে ফেরত পেতে লিগ্যাল নোটিশ

স্ত্রীকে ফেরত পেতে লিগ্যাল নোটিশ

স্ত্রীকে ফেরত পেতে লিগ্যাল নোটিশ

পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীকে ফেরত পেতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বামী মোঃ আল-মিরাজ। তবে ওই নোটিশের জবাব দেননি স্ত্রী আঞ্জুমান মরিয়ম। পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ আল মিরাজের সাথে বাউফলের ধানদী গ্রামের মোঃ আলতাফ মৃধার মেয়ে আঞ্জুমান মেরীর দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২২ সালের ১ মে তাদের বিয়ে হয়। তিনি ঢাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে সংসার শুরু করেন। মেরি গত ৩১ জানুয়ারি আল মিরাজকে তালাকের নোটিশ পাঠান।

এদিকে স্ত্রীকে ফিরে পেতে দুটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মিরাজ। লিগ্যাল নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ‘গত ৩০ জানুয়ারি মেরাজের অনুপস্থিতিতে মরিয়ম তাকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে যান। এসময় মেরাজের বাসায় নগদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, চার লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও ২৪ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্টফোন নিয়ে যায় মরিয়ম। পরে আঞ্জুমান মেরি মিরাজকে একতরফা তালাকের নোটিশ পাঠান।

এ ঘটনার পর মোঃ আল-মিরাজ গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মোঃ আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠান। কুরিয়ার সার্ভিসের পাঠানো আইনি নোটিশটি গ্রহণ করেননি আঞ্জুমান মরিয়ম। গত ৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো মরিয়মের বাবাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তাকেও কোনো জবাব দেওয়া হয়নি

আল মিরাজ বলেন, মরিয়মের সঙ্গে আমার ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মেরি তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করে। আমরা দুজনেই ঢাকায় একটা ভাড়া বাসায় ভালো সংসার শুরু করি। গত ৩০ জানুয়ারি কোনো কারণ ছাড়াই মরিয়ম টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে তিনি আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠান। ডিভোর্সের নোটিশ পাওয়ার পর তাকে ফেরত পেতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। আমি তাকে নিয়ে সংসার করতে চাই।

এ বিষয়ে আঞ্জুমান মেরির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মরিয়মের বাবা মোঃ আলতাফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি মিরাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে মিরাজ আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর কোনো খোঁজখবর নেয়নি। যার কারণে আমার মেয়ে তাকে তালাক দেয়।

প্রথম বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, “প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আর মরিয়ম জানতো আমি প্রথম বিয়ে করেছি। সে জেনেশুনে আমাকে বিয়ে করেছে।

এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের আইনজীবী বলেন, স্বামীর নেওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদি তিনি ফিরে না আসেন তবে ভিকটিম ১৫৬০ এর ৩৮০এবং ৪০৬ ধারায় মামলা করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X