October 18, 2024
সাতক্ষীরার আম যাবে ইউরোপে

সাতক্ষীরার আম যাবে ইউরোপে

সাতক্ষীরার আম যাবে ইউরোপে

সাতক্ষীরার আম যাবে ইউরোপে

সাতক্ষীরার আমের সুনাম রয়েছে ইউরোপের বরাবরের  মতোই। এ জেলা থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম ইউরোপে রপ্তানি হয়। এ বছরও সাতক্ষীরার আম ইতালি, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, জার্মানিতে রপ্তানি করা হবে। এ ছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ভালো ফলন হওয়ায় চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানা গেছে, গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আম চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে আমের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে গত কয়েক বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশা করছেন আম চাষিরা। সাতক্ষীরার বিভিন্ন জাতের আমের মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, আম্রপালি, মল্লিকা, সিন্দুররাঙা, ফজলি, কাচামিঠা, বোম্বাই, লতাবোম্বাই ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা হবে সাতক্ষীরার আম। সব মিলিয়ে প্রায় ২২৫ কোটি টাকার আম বিক্রি হবে। জেলায় ৫ হাজার ২৯৯টি আমের বাগান ও ১৩ হাজার ১০০ জন কৃষক  কর্মরত রয়েছে।

তালা তেঁতুলিয়ার তালা এলাকার এক  আমচাষী জানান, গত কয়েক বছর ফলন ভালো হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে লোকসান হয়েছে। তবে এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারদর ঠিক থাকলে অনেক লাভ হবে।    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন আম বাজারজাতকরণের জন্য নির্দিষ্ট সময় ও তারিখ নির্ধারণ করেছে। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রাসায়নিক দিয়ে কাঁচা আম বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের নজরদারিতে কেউ কেউ ধরা পড়ছে। না পাকা আমের বাজারজাতকরণ বন্ধ না হলে প্রকৃত আম চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহারের আম চাষি মোখলেস বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে প্রকৃত আম চাষিদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এ জেলার আমের সুনাম ইউরোপ পর্যন্ত হওয়ায় সুনাম ধরে রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তৎপর হতে হবে। তাছাড়া আমের বাজার সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন,  প্রতি কেজি ৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হলে আমের দাম বাড়বে। বিক্রি হবে ২২৫ কোটি টাকার আম।এছাড়া এ বছর ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হবে আম।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন জাতের আম বাজারজাতকরণের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ মে থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই ও গোপালখাসসহ অন্যান্য স্থানীয় আম পাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন থেকে আম্রপালি পাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X