দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিএসআইসি) জানিয়েছে, পরিকল্পিত লবণ উৎপাদন শুরুর পর থেকে গত ৬২ বছরের মধ্যে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ১০ হাজার ৯৩০ টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৯ হাজার টন। যা ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর উৎপাদন ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন। চলতি মৌসুমে আবাদি জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এবার আবাদি জমি বেড়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ টনের বেশি উৎপাদন সম্ভব হবে।
বর্তমানে চট্টগ্রামের কক্সবাজার ও বাঁশখালীর সব উপজেলায় বিসিআইসির লবণ শিল্প উন্নয়ন কর্মসূচি অফিসের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে লবণ চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লবণ আমদানির পরিবর্তে দেশে উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমের এক মাস আগে লবণ চাষিদের মাঠে নামানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সময়-নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী লবণ চাষীদের আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম লবণ চাষে উৎসাহিত ও প্রশিক্ষণ, লবণ চাষের জন্য নতুন নতুন এলাকা চিহ্নিত করা, লবণ চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, লবণ উৎপাদনের নিয়মিত মনিটরিং এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণমজুদসহ বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে।