November 22, 2024
প্রাইভেটকারে ‘হাত-পা বাঁধা প্রবাসীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার, উদ্ধার করল পুলিশ

প্রাইভেটকারে ‘হাত-পা বাঁধা প্রবাসীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার, উদ্ধার করল পুলিশ

প্রাইভেটকারে ‘হাত-পা বাঁধা প্রবাসীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার, উদ্ধার করল পুলিশ

প্রাইভেটকারে ‘হাত-পা বাঁধা প্রবাসীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার, উদ্ধার করল পুলিশ

রাজধানীতে সহিংস ডাকাতদের কবল থেকে এক প্রবাসীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা যায়, মঙ্গলবার রাজধানীর দিয়াবাড়ীর বৃন্দাবনে মেট্রোরেলের তৃতীয় স্টেশনের নিচে ডাকাতদের হাতে ধরা পড়েন মো. শরিফুল (৩০) নামে এক প্রবাসী। নিজেকে বাঁচাতে প্রাইভেটকারে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন তিনি

সেই প্রবাসী। প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা ডাকাতদের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে থাকা অবস্থায় শরিফুলকে দেখে চিৎকারের শব্দে পুলিশ এগিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রসহ অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন আবু সাইদ (২৮), সুবেদ (২৬), ফিরোজ আশরাফ হিমু (২৭) ও তামিম (২৪) । এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। এছাড়া লোহার রড, হাতুড়ি, কালো চশমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা মিরপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে তুরাগ থানা পুলিশ। আর উদ্ধার হওয়া প্রবাসী চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার দামিবন আলগা গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রাইসুল ইসলাম

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। এ সময় মিরপুরের কালশী থেকে একটি গাড়িতে ডাকাতরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। গাড়িতে করে তার সঙ্গে থাকা প্রায় ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।পরে তার হাত-পা বেঁধে আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে।এছাড়া প্রবাসীদের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা আনার জন্য নানাভাবে চাপ দেয়।

তিনি আরও বলেন, “প্রাইভেটকারটি মেট্রোরেলের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় চেকপোস্টে কর্তব্যরত আমাদের পুলিশ সদস্যদের সন্দেহ হয়। সে সময় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শোনা যায়। তখন পুলিশ প্রাইভেটকারটিকে চ্যালেঞ্জ করে। গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় মামলাও হয়েছে। ডিসি মোরশেদ আলম বলেন, এই চক্রটি গাড়িতে যাত্রী উঠিয়ে চোখ বেঁধে সবকিছু লুট করত। তারা একটি চক্র।ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এ চক্রটি একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X