নিজ আইনজীবীর বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা করেছেন ট্রাম্প
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করেছেন। চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে বুধবার ফ্লোরিডার নির্বাহী আদালতে কোহেনের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল)খবরে জানা জানায়। বলা হয় যে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং চুক্তি ভঙ্গ করা, জনসমক্ষে ট্রাম্প সম্পর্কে বিভিন্ন বিবৃতি দেওয়া, বই প্রকাশ করা এবং মিডিয়ার সাথে কথা বলার জন্য $৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি ডলারের ) মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।
২০১৮ সাল থেকে ট্রাম্পের সাথে কোহেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তার ব্যক্তিগত আইনজীবী ম্যানহাটনের একটি ফৌজদারি মামলায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে প্রধান সাক্ষী ছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। এই মাসের শুরুতে, তার বিরুদ্ধে সেই মামলায় ব্যবসায়িক রেকর্ড জাল করা সহ ৩৪ টি প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে ।
ট্রাম্পের এক সময়ের ‘ফিক্সার’ কোহেন সম্প্রতি তার ‘ট্রাম্প-বিরোধী অবস্থান’ নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে কোহেন ট্রাম্পের অনুমতি ছাড়াই তার অনেক গোপনীয়তা প্রকাশ্যে এনেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
তবে মাইকেল কোহেনের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস দাবি করেছেন, ট্রাম্প আইনের অপব্যবহার করছেন। তিনি আশা করেন তার মক্কেল মামলা থেকে খালাস পাবেন এবং ন্যায়বিচার পাবেন।
২০১৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে, ট্রাম্প ‘তার মুখ বন্ধ রাখতে’ একজন পর্ন লেডিকে$১৩০,০০০ দিয়ে ঘুষ দিয়েছিলেন। দাবি করা হয়, এক সময় ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নীল জগতের এই লেডির । কিন্তু তাদের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি তুলে আনতে চেয়েছিলেন তিনি। সে সময় টাকা নিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্ন লেডির । আর মাইকেল কোহেন এই পর্নো লেডির হাতে টাকা তুলে দিতে সাহায্য করেন।
কিন্তু পর্ন লেডিকে টাকা দেওয়া হলেও তা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন ট্রাম্প। এ কারণে চলতি মাসের শুরুতে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ট্রাম্পের প্রাক্তন বিশ্বস্ত আইনজীবী কোহেন এই অভিযোগ গঠনে সরকারি কৌঁসুলিকে সহায়তা করেছিলেন।