November 24, 2024
গীবত বা পরনিন্দা রোজার মহত্বের প্রতিবন্ধক

গীবত বা পরনিন্দা রোজার মহত্বের প্রতিবন্ধক

গীবত করা এবং অন্যকে দোষারোপ করা সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। পবিত্র কুরআন এই গীবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। বলা হয়, " পশ্চাতে ও সম্মুখে প্রত্যেক পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ-ধ্বংস।’ (সুরা: হমাজাহ, আয়াত : ১) পবিত্র রমজান মাসে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা মুমিনের জন্য আবশ্যক। গীবত শুধু কথার দ্বারা হয় না, ইশারা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও হয়। গীবত করা এবং শোনা উভয়ই সমান অপরাধ। জীবিত ও মৃত উভয়কেই অপবাদ দেওয়া হারাম। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, 'তোমরা একে অপরের দোষ দেখো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? আসলে তোমরা এটা ঘৃণা কর। তাই আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম করুণাময়। অনেকের মনে হতে পারে, বাস্তবে কারো কোনো দোষ থাকলে অনুশীলন করলে তা গীবত হবে না। ব্যাপার সেটা না. হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) গীবতের সংজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন এভাবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, গীবত কি? তিনি বললেন, 'তুমি তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বল, যা তাকে সরাসরি বললে অসন্তুষ্ট করবে।' তিনি বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে থাকে তবে তুমি তার গীবত করেছ। আর তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তবে তুমি তাকে অপবাদ দিয়েছ।' (আবু দাউদ) হাদিস শরিফে গীবতকে ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ বলা হয়েছে। গীবত করার কারণে কবরে শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর বললেন, নিশ্চয় এই দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো বড় পাপের কারণে তাদের কবরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এই কবরবাসীরা প্রস্রাব করার সময় সতর্ক ছিল না। আর ওই কবরবাসী গিবত করে বেড়াত। এরপর তিনি খেজুরের একটি কাঁচা ডাল আনিয়ে সেটি দুই টুকরা করে এক টুকরা এক কবরের ওপর এবং এক টুকরা অন্য কবরের ওপর গেড়ে দিলেন। তারপর বলেন, এ ডালের টুকরা দুটি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদের শাস্তি কমিয়ে দেবেন। (বুখারি) আর রোজা রেখে গিবত তো আরো বড় ধরনের অন্যায় কাজ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষ্য অনুযায়ী, কেউ গীবত করলে রোযা বাতিল হয়ে যায়। রোজার মাহাত্ম্য নষ্ট হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যারা রোজা রেখেও এসব অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না, তাদের রোজা রাখার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায় কথা বলে (অপবাদ, মিথ্যা, গালি, গালি, অভিশাপ ইত্যাদি) ) এবং ওই বিষয়ে আমল পরিত্যাগ না করে, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (ইবনে মাজাহ) তাই রোজা রাখার মাধ্যমে সকল প্রকার খারাপ কাজ যেমন অন্যায় কাজ করা, অন্যকে গালি দেওয়া, অন্যকে গালি দেওয়া ইত্যাদি পরিত্যাগ করা উচিত। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমীন।

গীবত বা পরনিন্দা রোজার মহত্বের প্রতিবন্ধক

গীবত করা এবং অন্যকে দোষারোপ করা সবচেয়ে খারাপ অভ্যাস। পবিত্র কুরআন এই গীবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে  কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। বলা হয়, ” পশ্চাতে ও সম্মুখে প্রত্যেক পরনিন্দাকারীর জন্য দুর্ভোগ-ধ্বংস।’ (সুরা: হমাজাহ, আয়াত : ১)

পবিত্র রমজান মাসে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা মুমিনের জন্য আবশ্যক। গীবত শুধু কথার দ্বারা হয় না, ইশারা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও হয়। গীবত করা এবং শোনা উভয়ই সমান অপরাধ। জীবিত ও মৃত উভয়কেই অপবাদ দেওয়া হারাম। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা একে অপরের দোষ দেখো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? আসলে তোমরা  এটা ঘৃণা কর।  তাই আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, পরম করুণাময়।

অনেকের মনে হতে পারে, বাস্তবে কারো কোনো দোষ থাকলে অনুশীলন করলে তা গীবত হবে না। ব্যাপার সেটা না. হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) গীবতের সংজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন এভাবে।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, গীবত কি? তিনি বললেন, ‘তুমি তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বল, যা তাকে সরাসরি বললে  অসন্তুষ্ট করবে।’ তিনি বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে থাকে তবে তুমি তার গীবত  করেছ। আর তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তবে তুমি তাকে অপবাদ দিয়েছ।’ (আবু দাউদ)

হাদিস শরিফে গীবতকে ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ বলা হয়েছে। গীবত করার কারণে কবরে শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর বললেন, নিশ্চয় এই দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো বড় পাপের কারণে তাদের কবরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এই কবরবাসীরা প্রস্রাব করার সময় সতর্ক ছিল না। আর ওই কবরবাসী গিবত করে বেড়াত। এরপর তিনি খেজুরের একটি কাঁচা ডাল আনিয়ে সেটি দুই টুকরা করে এক টুকরা এক কবরের ওপর এবং এক টুকরা অন্য কবরের ওপর গেড়ে দিলেন। তারপর বলেন, এ ডালের টুকরা দুটি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদের শাস্তি কমিয়ে দেবেন। (বুখারি)

আর রোজা রেখে গিবত তো আরো বড় ধরনের অন্যায়  কাজ। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষ্য অনুযায়ী, কেউ গীবত করলে রোযা বাতিল হয়ে যায়। রোজার মাহাত্ম্য নষ্ট হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যারা রোজা রেখেও এসব অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না, তাদের রোজা রাখার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অন্যায় কথা বলে (অপবাদ, মিথ্যা, গালি, গালি, অভিশাপ ইত্যাদি) ) এবং ওই বিষয়ে আমল পরিত্যাগ না করে, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (ইবনে মাজাহ)

তাই রোজা রাখার মাধ্যমে সকল প্রকার খারাপ কাজ যেমন অন্যায় কাজ করা, অন্যকে গালি দেওয়া, অন্যকে গালি দেওয়া ইত্যাদি পরিত্যাগ করা উচিত। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X