গাজিয়ান্তেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন বাংলাদেশিরা
- কনস্যুলেটের হটলাইন = +৯০৮০০২৬১০০২৬
- দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রফিকুল ইসলাম = +৯০৫৪৬৯০৫০৬৪৭
- ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবুল বাশার = +৯০৫৩৮৯১০৯৬৩৫
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সিরিয়ার অংশে থাকা অনেক বাংলাদেশির এখনও নিখোঁজ তবে তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চল গাজিয়ান্তেপ বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ১৮ বাংলাদেশি। তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রফিকুল ইসলাম জানান, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ। এখানে এ পর্যন্ত দুটি পরিবারসহ মোট ১৮ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা গেছে। তারা গাজিয়ান্তেপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই অঞ্চলে আমাদের কনস্যুলেট রয়েছে। আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিদের খাবার ও পানি সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।’
ভূমিকম্পে বাংলাদেশিদের সাহায্যের জন্য তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনু বিভাগ থেকে জানানো হয়, ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল তুরস্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলেটের হটলাইন চালু করেছে। +৯০৮০০২৬১০০২৬ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বসবাসরত বা অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রফিকুল ইসলাম +৯০৫৪৬৯০৫০৬৪৭ এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবুল বাশার +৯০৫৩৮৯১০৯৬৩৫-কে ফোন করে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
এখন পর্যন্ত কত বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন- জানতে চাইলে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশিরা তাদের অবস্থান জানাতে গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ইন টার্কি (বিএএসএটি) নামে। তাদের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা যোগাযোগ করছেন।’
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের হতাহতের শঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ দূতাবাস। তবে এখন পর্যন্ত অনিবন্ধিত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর পায়নি দূতাবাস।