October 31, 2024
নিউইয়র্কের একাংশ ঢেকে গেছে ৫৫ ইঞ্চি পুরু বরফে

নিউইয়র্কের একাংশ ঢেকে গেছে ৫৫ ইঞ্চি পুরু বরফে

নিউইয়র্কের একাংশ ঢেকে গেছে ৫৫ ইঞ্চি পুরু বরফে

নিউইয়র্কের একাংশ ঢেকে গেছে ৫৫ ইঞ্চি পুরু বরফে

যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ের তীব্রতা আরও বেড়েছে। বুধবার অন্তত ৫৫ ইঞ্চি পুরু বরফে ঢেকে যায় নিউইয়র্কের  একাংশ। এ রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বা ফেলো শহরের বহু নিচু বাড়ি ও সড়ক বরফে ডুবে গেছে। এসব বাড়িতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শীত ও বরফে গাড়ি আটকে বুধবার পর্যন্ত দেশ দুটিতে মৃত্যু বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

ঝড়ের তা-ব সবচেয়ে বেশি ছিল দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্কের পশ্চিমাঞ্চলে। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জনই নিউইয়র্কের। ঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বুধবার বাতিল হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি ফ্লাইট। বিমান সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ছাড়া সম্ভব নয়। বুধবার দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিমানবন্দরে হাজার হাজার যাত্রীকে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

তারা সবাই বাতিল হওয়া বিভিন্ন ফ্লাইটের যাত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অসংখ্য ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন বড়দিনের ছুটি চলছে।  এমনিতে এ সময় দেশটিতে তীব্র শীত থাকলেও তুষারঝড়ের প্রভাবে তাপমাত্রার পারদ যে পর্যায়ে নেমেছে, এমন এর আগে দেখা যায়নি। ঝড়ের জেরে তাপমাত্রা অতিরিক্ত নেমে যাওয়ায় ঘর গরম রাখতে বিদ্যুতের চাহিদা কয়েগুণ বেড়ে গেছে। ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে বিপুল চাপ। এই চাপের কারণে  নিউইয়র্ক, টেক্সাস, ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে।

লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন। ২২ ডিসেম্বর দেশটিতে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার ব্যাপ্তির এক ঝড় বয়ে গিয়েছিল। সে সময় সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপের কারণে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিলেন ১৭ লাখ মানুষ। পরে গত কয়েক দিনে সরবরাহকর্মীদের তৎপরতায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছিল বিদ্যুৎ। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডার অন্টারিও প্রদেশেও প্রবল তুষারঝড় অব্যাহত রয়েছে। দেশটির এরি শহরের কয়েক বাড়ি বরফে জমে গেছে।

ফ্লোরিডার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মার্ক পোলনকার্জ এক টুইটবার্তায় বলেন, ঠাণ্ডায় জমে মৃত্যু হওয়া মানুষের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি সংখ্যার চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সার্বিক পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

উত্তর আমেরিকা ও কানাডায় প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড় কমার আপাতত কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পুরু তুষারে ঢেকে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ লোক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন অবস্থায় রয়েছেন। হাড় কাঁপানো শীতে কোটি কোটি মার্কিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বরফে ঘরবাড়ি এবং রাস্তায় চলমান বহু গাড়ি জমে গেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত লোকজনকে ঘরের মধ্যে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X