November 1, 2024
পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলে অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ইস্যুতে ক্ষমতায় আসার আগেই এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পশ্চিম তীরে দখলদারিত্ব ও ভূমি সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক নির্বাচনে ইসরায়েলের সাবেক কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবারও জয়লাভ করায় দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তির আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বা ভূখণ্ড সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ পরিষ্কার হওয়ার পর এই কথা জানান তিনি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করব আমরা। যার মধ্যে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত, ধ্বংস এবং উচ্ছেদসহ সহিংসতার প্ররোচনাও রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, বাইডেন প্রশাসন ‘এলজিবিটিকিউ জনগণের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ইসরায়েলের সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচারের সমান প্রশাসনসহ মূল গণতান্ত্রিক নীতিগুলোর ওপর জোর দেবে।’

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন দেশটির সাবেক কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া ক্ষমতায় যেতে তিনি চরম কট্টরপন্থী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের পক্ষে থাকা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। নেতানিয়াহুর জোটে থাকা উগ্রপন্থি এসব দলগুলোর মধ্যে রিলিজিয়াস জায়োনিজম নামে একটি দলও রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছে, নেতানিয়াহুর অধীনে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে আরও অবৈধ ইসরায়েলি বসতি গড়ে উঠবে। এর আগে, নেতানিয়াহু ২০২১  সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেই সময়ে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলি অবৈধ বসতি রেকর্ডে প্রসারিত হয়েছিল। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এই ধরনের অবৈধ ইসরায়েলি বসতি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয় এবং সংকটের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবে ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে বিবেচিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X