এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভয়ানক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে রাশিয়া
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই কিয়েভ মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।
এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। শুক্রবার মস্কো কিয়েভকে এই ভয়ানক যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
রাশিয়া বলেছে, আটক রুশ সৈন্যদের একটি দল ইউক্রেনের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে রাশিয়ান সৈন্যদের একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে একে একে আত্মসমর্পণ করতে দেখা যাচ্ছে।
সেই ভিডিও থেকে জানা যায়, এই সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে নেই; বরং আত্মসমর্পণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে।
এরপর রাশিয়া ইউক্রেনকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদের সবার মাথায় গুলি লেগেছে।
মস্কো বলছে এটিই প্রথম এবং ইউক্রেনের একমাত্র যুদ্ধাপরাধ নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যুদ্ধের সময় আত্মসমর্পণকারী সৈন্যদের আহত করাও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই ভয়ঙ্কর অভিযোগের বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়াপন্থী ব্লগাররাও সেই ইউক্রেনীয় সৈন্যদের শনাক্ত করার ছবি প্রকাশ করেছে।
তারা বলেছে যে ইউক্রেনের ৮০ তম এয়ারবর্ন অ্যাসল্ট ব্রিগেডের সদস্যরা এই গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল।
ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ের বিরুদ্ধেই বন্দী নির্যাতনের রিপোর্ট ইউক্রেনে জাতিসংঘের মিশন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই উভয় দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
যুদ্ধের নিয়ম না মানার জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে। তবে গত ৯ মাস যুদ্ধের সময় বন্দি বিনিময় ছিল খুবই সাধারণ ব্যাপার।
কিন্তু রুশ সেনাদের হত্যার বিষয়টি সামনে আসার পর এই প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়েছে।