মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, মানুষ কম খাচ্ছে: সিপিডি
একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর একটি সমীক্ষা অনুসারে, দেশে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন, শীঘ্রই সমাধানের কোনও লক্ষণ নেই। এ ছাড়া অনেকেই খাবারের খরচ কমাতে মাছ-মাংস-সহ বিভিন্ন আমিষ খাবার তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ঝলক এবং বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ কোন পথে?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
সংস্থাটির তথ্যমতে, রাজধানীতে বসবাসকারী চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসিক খাদ্য ব্যয় ২২ হাজার ৪২১ টাকা। মাংস ও মাছ বাদ দিলেও খাবারের দাম পড়বে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। এটি ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসহীন খাদ্য তালিকা।
এ জন্য সব খাতে মজুরি বা বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মুদ্রাস্ফীতি প্রবল। আন্তর্জাতিক পণ্যের দামও বেশি। আবার দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম চড়া। খাদ্য সংকটেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এফএও জানিয়েছে, বিশ্বের ৪৫টি দেশ খাদ্য সংকটে রয়েছে, বাংলাদেশও রয়েছে এই তালিকায়।
সিপিডির তথ্যমতে, বিশ্ব মন্দায় বাংলাদেশ ৭টি সংকটের সম্মুখীন। সেগুলো হলো- ডলার সংকট, জ্বালানি সংকট, মুদ্রাস্ফীতি সংকট, খাদ্য সংকট, ইউক্রেন সংকট, কোভিড ও জলবায়ু পরিবর্তন সংকট।
ডাঃ ফাহমিদা খাতুন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা সংকটগুলোকে ৭ ভাগে ভাগ করেছি। এসব সংকটের মধ্যে ডলার, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের কারণে অন্যান্য সংকট তীব্রতর হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, সেই সাতটি সংকট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ঐতিহাসিকভাবে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধি হয় কম বা নেতিবাচক। আমরাও সেই প্রভাব অনুভব করছি। এই সংকট চলমান এবং তীব্রতর হচ্ছে।
1 Comment