জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনার কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগেও। ফলে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদালত মোমবাতি জ্বালিয়ে বিচার পরিচালনা করে।
রাজধানীর কোথাও বিদ্যুৎ না থাকলেও তা ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগসহ পুরনো ভবনের সব আদালতে বিদ্যুৎ থাকলেও হাইকোর্ট বিভাগের অ্যানেক্স ভবনে বেশ কয়েকটি আদালতে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ না করে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিচার সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্টরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি বলেন, আমাদের আদালতে মামলার শুনানি প্রক্রিয়া চলছে। এমন সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে বিভিন্ন মামলার শুনানি করেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিচারপতি মো. এ সময় আদালতে মোমবাতি ও মোবাইল ফোনের আলো জ্বালিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করেন আইনজীবীরা।
দুপুরের দিকে রাজধানীর সব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের মূল ভবনে বিদ্যুৎ থাকলেও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন ও এনেক্স ভবনের কয়েকটি আদালতে বিদ্যুৎ ছিল না। এর মধ্যে বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুনানি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. এ সময় অ্যানেক্স ভবনের জেনারেটরও বন্ধ ছিল।
জানতে চাইলে আদালতে উপস্থিত সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী বলেন, বিদ্যুতের অভাবে অনেক কষ্ট স্বীকার করে দীর্ঘ সময় ধরে বিচার পরিচালনা করেছেন দুই বিচারপতি। এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় থাকলেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিদ্যুৎ ছিল। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনে বিদ্যুৎ ছিল। তবে, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে পুরোপুরি চলে যায়।