ইন্দোনেশিয়ায় আগামী বছরের মে ও জুনে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় মালাং শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয় ২০০ জন। স্থানীয় সময় শনিবার (০১/১০/’২২) রাতে এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনাকে দাঙ্গা হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, মালাং শহরের কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। এটি দুটি ফুটবল ক্লাব, আরেমা এফসি এবং পার্সেবায়া সুরাবায়ার মধ্যে খেলা হয়। খেলায় আরেমাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পার্সেবায়া। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পার্সেবায়ার কাছে হেরেছে আরেমা। কিন্তু তারা হার মানেনি।
এতে স্টেডিয়ামে আরেমার দর্শকরা মাঠে বিশৃঙ্খলা শুরু করে। পুলিশ তাদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আতঙ্কে ছুটতে থাকে দর্শকরা। তখন পদদলিত হয়ে নিহত হন অনেকে।
এক বিবৃতিতে পূর্ব জাভা পুলিশের প্রধান নিকো আফিন্তা বলেছেন, “দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহতদের মধ্যে রয়েছেন।” স্টেডিয়ামের ভিতরে ৩২ জন মারা যান। অন্যরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
দেশটির সরকার ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদ্দিন আমালি বলেছেন, “দুঃখজনক ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটেছে যখন ফুটবল ভক্তরদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ হচ্ছে।”অবশ্যই বলা চলে ফুটবল মাঠের ভিতরে এত বড় সংঘর্ষ সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের মনে ক্ষত সৃষ্টি করেছে।