পুলিশকে জনবান্ধব করার প্রত্যয়
পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না, র্যাব পুনর্গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এলিট ফোর্স র্যাব পুনর্গঠন করা হবে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, র্যাব পুনর্গঠনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একই সাথে, পুলিশের কাছে কোনও মারণাস্ত্র অস্ত্র থাকবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১২ মে) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাবের পুনর্গঠন কীভাবে হবে, যে নাম আছে সেটিই থাকবে কিনা, ইউনিফর্ম যা আছে তা বা একই ফোর্স থাকবে কিনা এবং বাহিনী কীভাবে সংগঠিত হবে সেজন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদেরও এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। প্রয়োজনে কমিটি আরও সদস্য নিতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীর নেতৃত্বে আরেকটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
অস্ত্রের সাথে যদি নৈতিকতা না থাকে, জনদরদ না থাকে, মানবিকতা না থাকে তাহলে সে অস্ত্র দাম্ভিকতা আর পাশবিকতা নিয়ে আসে। তাই সকল পুলিশের হাতে মরণাস্ত্র না দেয়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত লজিক্যাল।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, পুলিশের কাছে কোনও মারণাস্ত্র অস্ত্র থাকবে না। বর্তমানে তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলি কেড়ে নেওয়া হবে অথবা তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে, বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত দল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মারাত্মক অস্ত্র থাকবে। এই বাহিনীর কাজ অন্যান্য পুলিশের থেকে একটু আলাদা। সেজন্য তাদের কাছে মারণাস্ত্র অস্ত্র থাকবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের মনে করিয়ে দেন যে, পোশাক শ্রমিকদের বেতন ঈদুল আজহার আগেই পরিশোধ করতে হবে। তিনি বলেন, যারা বেতন পাওয়ার যোগ্য তাদের বেতন দিতে হবে। যারা অবৈধ দাবি নিয়ে রাস্তায় হাঁটেন তাদের তা করতে দেওয়া হবে না। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মালিকদের পূরণ করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই অবৈধ দাবি সহ্য করা হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের পশুর হাটে সাধারণ মানুষ চাঁদাবাজি, ডাকাতি এবং মলম পার্টির শিকার হচ্ছে। এজন্যই আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। হাট কমিটি কেবল টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক রাখে; আমরা এখন বলেছি যে, প্রতিটি হাটে ১০০ জন আনসার সদস্য রাখতে হবে। তারা সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। একই সাথে, ঈদের সময় যাত্রীরা যাতে কোনও বাধা ছাড়াই বাড়ি যেতে পারেন সেজন্য হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় যেন কোনও চাঁদাবাজি না হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে যে কোথাও কোনও ধরণের চাঁদাবাজি হলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: সীমান্ত জেলার এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ বাংলাদেশ আইজিপির
বাংলাদেশ এর আরো খবর

সন্ত্রাসীদের চিরবিদায়ে দৃঢ় প্রত্যয়ী বাংলাদেশ / আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: খুশিতে গরু জবাই করে খাওয়ালেন শিশু বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম

বাংলাদেশে হচ্ছেনা ফ্যাসিস্টদের ঠাই / আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস

আরেক 'জুলাই' এর প্রতিধ্বনি / গণহত্যাকারী দল 'আওয়ামীলীগ' নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বাফার স্টেট বাংলাদেশ? / ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: সীমান্ত জেলার এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ বাংলাদেশ আইজিপির
