৭৯ মিলিয়ন মেডিকেইড সুবিধাভোগীর তথ্য এক্সেস করবে আইস
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউইয়র্ক: ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্টদের ৭৯ মিলিয়ন মেডিকেইড সুবিধাভোগীর ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও জাতিগত তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এমন অভিবাসীদের খুজে বের করে তাদের মেডিকেইড সেবা বন্ধ ও ডিপোর্টেশনের আওতায় নিয়ে আসা। খবর এপির।
ডিএইচএস ও সিএমএস’র একটি চুক্তির তথ্যের ভিত্তিতে অ্যাসোসিয়েট প্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, এ চুক্তিটি অবৈধ অভিবাসী নাগরিকদের অবস্থান শনাক্ত করার সুযোগ করে দেবে। চুক্তিটি মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড সার্ভিসেস কেন্দ্র এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মধ্যে স্বাক্ষরিত হলেও তা এখনো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
চুক্তি অনুযায়ী, আইস কর্মকর্তারা মেডিকেইডে তালিকাভুক্ত সকল ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, জাতিগত ও জাতিসত্তাগত তথ্য এবং সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার দেখতে পারবেন।
ডিএইচএস সহকারী সেক্রেটারী ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক ইমেইল বিবৃতিতে এপিকে বলেন, “দুই সংস্থা একটি উদ্যোগ খতিয়ে দেখছে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় অবৈধ অভিবাসীরা যেন এমন মেডিকেইড সুবিধা না পান।’
এপিকে এক প্রতিক্রিয়ায় সিনেটর অ্যাডাম শিফ বলেন, “লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের বিশাল এই স্থানান্তর প্রতিটি আমেরিকানের জন্যই অশনিসংকেত। আমাদের গোপনীয়তা আইনকে এমনভাবে লঙ্ঘন বন্ধ করতেই হবে। এটি দেশের লাখ লাখ পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং মানুষ জরুরি চিকিৎসা নিতে ভয় পাবে।”
সিএমএস বারবার দাবি করেছে, এই পদক্ষেপ মূলত যাতে বিদেশী নাগরিকরা অনুপযুক্তভাবে মেডিকেইড সুবিধা নিচ্ছেন কি না সেটি যাচাই এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নতুন এই চুক্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে এই তথ্য ব্যবহার করে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করবে।
তবে এই চুক্তি আইস কর্মকর্তাদের তথ্য ডাউনলোড করার অনুমতি দেয়নি। শুধুমাত্র ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমিত সময়ের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবে।
গত মাসে মামলাগুলোর জবাবে ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসেস এর মুখপাত্র অ্যান্ড্রু নিকসন বলেন, “ তাদের দপ্তর পুরোপুরি আইনসঙ্গতভাবে এবং বিদ্যমান সব আইনের আওতায় কাজ করেছে। যাতে নিশ্চিত করা যায় যে শুধুমাত্র আইনি অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তিরাই মেডিকেইড সুবিধা পান।”
এই তথ্য হস্তান্তরের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আইনপ্রণেতা ও গভর্নররা একে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ভয়ানক উদাহরণ বলে আখ্যা দেন। ইতিমধ্যে ২০টি রাজ্য এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
আন্তর্জাতিক এর আরো খবর

অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়নের হুশিয়ারী ক্রিস্টি নোয়েমের
প্রি—স্কুল প্রোগ্রাম সীমিতের উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসনের / অনিয়মিত ৫০ হাজার অভিবাসী শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি / নার্সিং হোম কেয়ারগুলোতে প্রকট হচ্ছে কর্মী সংকট

গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে নিহত আরও ৯৪, আহত শতাধিক

শনিবার ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ: নেতাকর্মী আনার জন্য ৩ জোড়া ট্রেন ভাড়া
