প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা শুল্ক ঘোষণার ফল
তিন বছরে সর্বনিম্নে ইউএস ডলারের মান

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ইউএস ডলারের মূল্য গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা শুল্ক ঘোষণার ফলে বিশ্ব বাজারে এই পতনের সূত্রপাত। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ডলারের শক্তিও দুর্বল হয়ে পড়ছে।
মার্কিন ডলার সূচক (DXY) এবং ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য ৯৯.০১ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি গত এক বছরে ডলারের প্রায় ৮ শতাংশ রেকর্ড পতন। ডলারের মূল্য হ্রাসের কারণে বিশ্ববাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে এর ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
গত তিন বছরের মধ্যে শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রাটি রেকর্ড ০.৫৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে সংকলিত মার্কিন ডলার সূচক গত শুক্রবার ০.৫৬ শতাংশ কমেছে।
শুক্রবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম ১.২৫ শতাংশ কমেছে। এক ইউরোর মূল্য এখন ১.১৩ ডলার। একইভাবে, জাপানি ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দাম কমেছে। পতনের হার ছিল ০.৫১ শতাংশ। ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতেও পতন হয়েছে; সেদিন পাউন্ডের দাম ০.৮৯ শতাংশ বেড়েছে।
ইউএস ডলার সূচক দেখিয়েছে যে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ডলার ৯৯.০১ এ নেমে এসেছে। এটি গত বছরের তুলনায় ডলারের মূল্যের প্রায় ৮ শতাংশ কম।
ইউএস ডলার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লেনদেন করা মুদ্রা। ডলারের মূল্য হ্রাস অন্যান্য দেশের মুদ্রার উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের মুদ্রার মূল্য মূলত ডলারের উপর নির্ভর করে, যা 'বিনিময় হার' দ্বারা নির্ধারিত হয়।
ফোর্বসের মতে, গত বুধবার, ট্রাম্প বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের উপর অভূতপূর্ব আমদানি শুল্ক আরোপ করেন। এই ঘোষণার পর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয় এবং ডলারের মূল্য দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। তবে, পরে তিনি চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের উপর তিন মাসের জন্য শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা দেন।
শুল্ক আরোপের পরপরই আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার শেয়ার বাজার নিম্নমুখী হয়ে যায়। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এবং অনেকেই নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
বাজারের চাহিদা এবং সরবরাহের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার মূল্য সাধারণত ওঠানামা করে। তবে, কিছু মুদ্রার স্থির মূল্য থাকে, যেমন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যা আগে ইউএস ডলারের সাথে সংযুক্ত ছিল। ১৯৯৮ সালের পর এটি বাতিল করা হয় এবং এখন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যও বাজার-নির্ধারিত।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা এবং অর্থনৈতিক নীতির উপর ভিত্তি করে মুদ্রার শক্তি বা দুর্বলতা নির্ধারিত হয়।
আমেরিকা এর আরো খবর

হৃদয়ের কথা মেনে শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প / চীন ছাড়া সকল দেশের জন্য আমেরিকার অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত

দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তূপে চলছে প্রাণের খোঁজ / ডোমিনিকান রিপাবলিকে নাইট ক্লাবের ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনা, মৃত ৯৮

যেসব দেশ শুল্ক কমানোর অনুরোধ করেছেন তাদের সাথে আলোচনা করা হবে: ট্রাম্প

ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, হাজার হাজার মানুষের জমায়েত

স্টারলিংক, ব্যবসা করার অনুমোদন পেল বাংলাদেশে
