যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর ইতিবাচক সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর ইতিবাচক সমাধান হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন 'পারস্পরিক শুল্ক' (রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ) নীতির অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের ১৮৪টি দেশের উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করছেন। বছরের পর বছর ধরে অন্যায্য বাণিজ্য নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বুধবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় এই শুল্ক ঘোষণা করেন। ট্রাম্প এই শুল্ক দিবসকে "স্বাধীনতা দিবস" হিসেবেও ঘোষণা করেন। তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
ইউএস সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই শুল্ক সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে-আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’
অধ্যাপক ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাংলাদেশি পণ্যের উপর আমেরিকার ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে একথা বলেন,
‘এখনো পুরো বিষয়টি আলোচনা শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এটা পর্যালোচনা করছি এবং আমরা যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, তাতে আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা এমন একটা সমাধানের দিকে যেতে পারব, যাতে উভয় পক্ষের জন্য উইন উইন সিচুয়েশন হয়।’
প্রেস সচিব আরও দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করব-যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে।’
আজ সকালে, শফিকুল আলম তার ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশি পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধি সম্পর্কে লিখেন, “বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে। এসব শুল্ক আরও যুক্তিসংগত করার উপায় খুঁজে বের করতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা শুল্কবিষয়ক জটিলতা নিরসনে প্রয়োজন।“
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চলমান কার্যক্রম শুল্ক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’
আমেরিকা এর আরো খবর

হৃদয়ের কথা মেনে শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প / চীন ছাড়া সকল দেশের জন্য আমেরিকার অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত

দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও ধ্বংসস্তূপে চলছে প্রাণের খোঁজ / ডোমিনিকান রিপাবলিকে নাইট ক্লাবের ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনা, মৃত ৯৮

যেসব দেশ শুল্ক কমানোর অনুরোধ করেছেন তাদের সাথে আলোচনা করা হবে: ট্রাম্প

ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, হাজার হাজার মানুষের জমায়েত

স্টারলিংক, ব্যবসা করার অনুমোদন পেল বাংলাদেশে
