প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস-মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ফোনালাপ

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। সোমবার (৩০ জুন) প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার যাচাইকৃত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি পোস্টে লিখেছেন, “আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলা এ সংলাপ ছিল উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ, যা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রমাণ বহন করে।“
এর আগে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূস টেসলা এবং স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের সাথে ফোনে কথা বলেন। তবে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য শেয়ার করেছেন।
এদিকে, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশের রপ্তানির উপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি লেখেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা তুলে ধরে চিঠিতে ড. ইউনূস শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান।
ট্রাম্পকে লেখা চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনার অভিষেকের পরপরই আমি আমার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠিয়ে জানিয়েছি যে ১৭ কোটি মানুষের দ্রুতবর্ধনশীল বাজারে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে আগ্রহী। আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণকারী প্রথম দেশ।“
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বহু-বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এলএনজি রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ এলএনজি-ভিত্তিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই মার্কিন কৃষি পণ্য - বিশেষ করে তুলা, গম, ভুট্টা এবং সয়াবিনের আমদানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আমেরিকান কৃষকদের আয় এবং জীবিকার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই পণ্যগুলি দ্রুত বাজারে পৌঁছানোর জন্য, বাংলাদেশে একটি 'ডেডিকেটেড বন্ডেড ওয়্যারহাউস' চালু করার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে এই পণ্যগুলিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন রপ্তানিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন শুল্ক রয়েছে, তুলা, স্ক্র্যাপ লোহা এবং কৃষি পণ্যের উপর শুল্ক শূন্য রাখার প্রতিশ্রুতি ছাড়াও, গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো শীর্ষ মার্কিন পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কমানোর কাজ চলছে। বাংলাদেশ মার্কিন রপ্তানিতে বিদ্যমান সকল বাধা অপসারণের জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পরিদর্শন ও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা, প্যাকেজিং এবং লেবেলিং মান সহজ করা, শুল্ক পদ্ধতি সহজ করা এবং অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধা সম্প্রসারণ করা।
আরও পড়তে- ৬০ টন তৈরি পোশাক নিয়ে সিলেট থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট গেল স্পেনে
বাংলাদেশ এর আরো খবর

জুলাই জাতীয় বীর নাহিদ ইসলামের বার্তা / জুলাই ঘোষণাপত্র-জুলাই সনদ দিতে না পারলে জুলাই উদযাপনের এখতিয়ার সরকারের নেই

অর্থবছর শেষের আগেই ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রেমিটেন্স: এক অর্থবছরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ / জামায়াতসহ বিভিন্ন দল দাওয়াত পেলেও বিএনপি পায়নি

হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস

প্রতিভাবান বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ / মেধাবীদের টানতে যুক্তরাজ্যের বিশেষ প্রকল্প, বাংলাদেশীদের উজ্জল সম্ভাবনা: কিভাবে করতে হবে আবেদন
