December 7, 2024
শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ

শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ

শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ

শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ

রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী পলাতক শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে রাজধানীর মতিঝিলে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে এ অভিযোগ করেন।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর ও এর আশপাশের মর্মান্তিক দৃশ্য বাংলাদেশের বিবেকবান মানুষকে এবং সারা বিশ্বকে কাঁদিয়েছে। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের বের করে দিয়ে এবং বিদ্যুৎ কেটে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল তা প্রত্যক্ষ করেছি।

তিনি আরও বলেন, “এই বেদনাদায়ক স্মৃতি আমরা দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছি। অনেক শহীদ পরিবার তাদের প্রিয়জনের লাশ পর্যন্ত পায়নি।” বছরের পর বছর পালাতে হয়েছে শহীদদের স্বজনদের।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ সালের ৫ মে একটি অভিশপ্ত দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অভিশাপ থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা।

এ কারণে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এসেছি।

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক জড়ো হন। ওই রাতেই র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে অভিযান চালায়।  হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে ট্রাইব্যুনাল।  এর আগে ২০ আগস্ট হেফাজতের সমাবেশে শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের আবেদন করা হয়।

এগারো বছর আগে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ‘গণহত্যা’র অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

হেফাজত ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কাছে অভিযোগটি জমা দেন। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষণিকভাবে অন্য আসামিদের নাম জানাতে পারেননি।

এর আগে, ২০ আগস্ট শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী (বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর) গাজী এমএইচ তামিম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আবেদনটি জমা দেন।

আবেদনে ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

শাহবাগ আন্দোলনের বিপরীতে ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে সংগঠনটি ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে সমাবেশ করে। সমাবেশকে ঘিরে পুরো মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ও তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতে যৌথ অভিযানে মতিঝিল থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

সে সময় এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ দাবি করে, শাপলা চত্বর অভিযানে ৬১ জন নিহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, রাতের অভিযানে কেউ মারা যায়নি এবং দিনের বেলায় সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১১ জন।

অধিকারের প্রতিবেদনে প্রকাশিত সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিলে ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মামলা হিসেবে জিডি করা হয়।

সেই মামলায় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকা অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এক মাস কারাগারে থাকার পর তারা জামিনে মুক্তি পান।

আদিলুর রহমান খান বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

তবে ঠিক কতজন শহীদ হয়েছিলেন সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। তবে সবকিছুই সময়ের ব্যবধানে জানা যাবে। হাসিনার আমলেফ্যাসিস্ট কায়দায় সবকিছু দমিয়ে রাখা হয়েছিল তাই প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X