প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে জবাব দিয়েছে তার সমালোচনা করেছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “ইরানে সমান অধিকার ও মৌলিক মানবিক মর্যাদার দাবিতে ছাত্র ও নারীসহ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমন-পীড়নে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ওয়াশিংটন
ইরানের জনগণের অবাধে প্রতিবাদ করার অধিকারের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরান সরকারকে তার জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা অস্বীকার করার এবং ক্রমাগত ভীতি, জবরদস্তি ও সহিংসতার মাধ্যমে প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে রাখার অভিযোগও করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নারী ও দেশের সব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, যারা তাদের সাহসিকতার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করছে।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটিতে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন। এই দুই দেশ তার দেশের ‘অগ্রগতি’ ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ইরানে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ৮৩ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি যে এই দাঙ্গা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইহুদিবাদী (ইসরায়েল) এবং যারা তাদের কাছ থেকে অর্থ পেয়েছে।” বিদেশে কিছু দেশদ্রোহী ইরানিও তাদের সাহায্য করছে।
১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি মহিলা মাহশা আমিনিকে হত্যার পর দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। কঠোর ড্রেস কোড লঙ্ঘনের জন্য আমিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা যান তিনি। এরপর থেকে ইরানে নারীদের জন্য কঠোর পোষাক কোডসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নরওয়ে ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) জানিয়েছে যে বিক্ষোভে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৯২ জন নিহত হয়েছে।