November 29, 2024
তেল আবিবে ২ ঘণ্টায় হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম হিজবুল্লাহ

তেল আবিবে ২ ঘণ্টায় হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম হিজবুল্লাহ

তেল আবিবে ২ ঘণ্টায় হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম হিজবুল্লাহ

তেল আবিবে ঘণ্টায় হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম হিজবুল্লাহ

গাজা আক্রমণের কারণে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ১১৬দিন ধরে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে লড়াই করছে। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীকে পরাস্ত করতে মাত্র দুই ঘণ্টায় দেশটির রাজধানী তেল আবিবে এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে হিজবুল্লাহর। আরব গণমাধ্যমগুলো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, অন্যরা তেল আবিবের আকাশচুম্বী ভবনে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইসরায়েলি প্রতিবেদনে তেল আবিবের সাইটগুলি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে হিজবুল্লাহ তাদের “পরবর্তী যুদ্ধের লক্ষ্যবস্তু” বলে অভিহিত করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের কবল থেকে উত্তর ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনা কমান্ডারকে লেবাননের সঙ্গে সংঘর্ষে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম ফিলিস্তিনে অন্তত পাঁচটি ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ভারী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।

এছাড়াও সোমবার হিজবুল্লাহ ১৩ টি ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। লেবাননের ইয়ারিন, আল-বুস্তান এবং আল-ওয়াজানি শহরের কাছে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর প্রথম হামলা চালানো হয়। এরপর ইসরাইল চিহনে, নাকোরা, ইয়ারিন, আল-জিবিন এবং তের হারফা শহরে পাল্টা হামলা চালায়। জবাবে হিজবুল্লাহ হাদাব আইতা ও আল-দাইরাহ এলাকায় অবস্থিত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনা নিহতের সংখ্যা বাড়ছে:

এদিকে গাজায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই তিন সেনার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় দুজন এবং উত্তর গাজায় একজন নিহত হয়েছেন।

এর সঙ্গে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ৫৬০ এবং আহতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৮৪। এছাড়া গাজায় স্থল অভিযানের পর থেকে নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ২২৩।

গাজায় ২৪ ঘন্টায় ২১৫ জন নিহতসহ মৃতের সংখ্যা ৭৬৬৩৭ এ দাঁড়িয়েছে

ফিলিস্তিনি শিশুরা জীবনের আশা নিরাশার দোলাচলে ২৮ জানুয়ারি গাজা উপত্যকার রাফাহতে বাস্তুচ্যুত  ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অস্থায়ী শিবিরের ধ্বংসস্তূপের সামনে খেলছে

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৫ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়েছে। এতে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৬৩৭ জনে। এ ছাড়া এসময় আহত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৩৮৭ জন। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

অক্টোবরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আক্রমণ শুরু করে। তেল আবিব জানিয়েছে, হামলায় প্রায় ১২০০  জন নিহত হয়েছে।

এদিকে, জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা সবাই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আশ্রয়হীন জীবনযাপন করছে হাজার হাজার মানুষ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ৬৪,১১০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া গত ২১ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী উপত্যকার অন্তত ২১টি স্থানে গণহত্যা চালিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২০০ জন। আহত হয়েছেন আরও ৩৭০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে। রাস্তা-ঘাট আইডিইএফের দখলে থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

অন্যদিকে, গজার খান ইউনিসের কাছে ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে হামাসের হামলার পর তেল আবিব প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। ইসরায়েল বলেছে যে হামাসের হামলায় কয়েকশ সেনাসহ অন্তত ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এছাড়া আড়াই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

তেল আবিবের প্রতিশোধমূলক অভিযানে গাজার ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পুরো গাজা অবরোধের ফলে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গাজার লাখ লাখ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে কোনো ত্রাণবাহী যান গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য,গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। নেদারল্যান্ডসের হেগে আইসিজে এ আদেশ দেয়। তবে আদালত গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।

অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে, আদালতের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন বিচারক জে ডংহু বলেছেন, আদালত গাজায় গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য দেশটিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে ইসরাইলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগ থেকে আইসিজে এই আদেশ জারি করে। গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিযোগের শুনানি নিয়ে শুক্রবার আইসিজে থেকে এই সিদ্ধান্ত আসে।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X