কনে কেনো কালোঃ বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষের হামলা
গাজীপুর শ্রীপুরের
কনের বাবা তোতা মিয়ার দাবি, তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের সাঈদ ফকিরের ছেলে রাকিব ফকিরের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তার মেয়ের বিয়ে হয়। বর পোশাক কারখানায় চাকরি করে এবং কনে স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছে। বিয়ের পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার কনেকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল এবং বর পক্ষ থেকে ৬০ জন মেহমান আসার কথা। তারা ৬০ জনের পরিবর্তে ১২০ জন মেহমান নিয়ে আসে। দুপুরে খাওয়া শেষে বউ সাজাতে ঘরে যায় বরের আত্মীয়-স্বজন।
তিনি দাবি করেন, ঘরে গিয়ে কন্যা কালো পেতনি, ঘরবাড়ি নাই ইত্যাদি বলে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে। এছাড়াও তাদের কথামতো ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আসার কথা থাকলেও তারা চিকন একটা চেইন ছাড়া আর কিছুই আনেনি। এটা নিয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে কনে সাজানোর ঘর থেকে বেড়িয়ে জুসু ঘটক আকস্মিক ভাবে চিল্লান দেয়। এতে তাকে মারা হয়েছে এমন অযুহাত দিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বর পক্ষের সঙ্গে আসা মেহমানরা ঘরের আসবাবপত্রসহ ডেকোরেশনের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।
কনের বাবা আরও দাবি করেন, উভয়পক্ষের সম্মতিতে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে ২ দিন আগে তাদের বিয়ে হয়। শুক্রবার মেয়েকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল বর পক্ষের। ৫০ হাজার টাকা ওয়াসিল দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ছোট একটি চেন নিয়ে আসে। বর পক্ষ ইচ্ছে করেই পরিকল্পিতভাবে মেয়ে না নেওয়ার জন্য কথার বরখেলাপ করে ঝগড়া সৃষ্টি করেছে।
তোতা মিয়া অভিযোগে লিখেন, ৮০-৯০ জন লোকে একসাথে হামলা চালিয়ে ৮০ হাজার টাকার মালামাল ভাংচুর করে। এরসাথে বিয়ের দাওয়াতে আগত অতিথির দেওয়া ৮০ হাজার টাকা লুটে নেয় তারা।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান মনির যায়যায়দিনকে জানান, এ ঘটনার পর উভয়পক্ষ থানায় উপস্থিত হয়ে পৃথক অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।